
প্রশাসনের উদ্যেগে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছা’ত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়। এরপর বাল্যবিয়ের দায়ে





প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেয় দুই পরিবার। তবে বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সেই মুচলেকা। থামানো যায়নি বিয়েও। প্রশাসনের লোক চলে যাওয়ার গেলে রাতেই গো’প’নে উভ’য় পরিবারের সম্মতিতে





স্কুল ছা’ত্রীকে বর পক্ষের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিন গত রাতে উপজে’লা দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করলেও আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর)





প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজে’লার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মো. পারভেজ ইলিয়াসের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মে’য়ের সঙ্গে





পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামের মো. আবদুল খালেক হাওলাদারের ছে’লে দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই দিন দুপুরে বরের ভগ্নীপতি সে’না সদস্যসহ





অর্ধশতাধিক মেহমান গাড়ী বহর নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এসময় বরপক্ষসহ কনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসনের লোকসহ তিন শতাধিক লোক বিয়ের আয়োজন শেষে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে।
এসময় বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয়রা উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (অ’তিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহমেদকে অবহিত করলে তার নির্দেশে উপজে’লা মহিলা বিষয়ক কর্মক’র্তা মনিকা আক্তারের নেতৃত্বে থা’না পু’লিশ কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে পু’লিশ কনে বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেনের উপস্থিতিতে কণের উপযু’ক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত স’ম্প’র্ক স্থাপন করবেনা ম’র্মে বর দেলোয়ার হোসেন লিমন মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বাড়ি ত্যাগ করেন।
পরে প্রশাসনের লোকজন কনের বাড়ি থেকে চলে আসার পর ওই দিন রাতে বর পক্ষ পুনরায় কনের বাড়ি এসে কনে পক্ষের সম্মতিতে বর পক্ষ কনেকে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (অ’তিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, মুচলেকা দেওয়ার পরও বর ওই কি’শোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে ত’দ’ন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply