
মা-বাবার আদরের হলেও পরিবারের একটু সুখের আশায় বিদেশ পাড়ি জমান আমজাদ হোসেন হৃদয়। ছোট ছে’লের পাঠানো টাকায়





ভালোই কাটছিল মা-বাবার দিন। ছে’লে দেশে এলে বিয়ে করানোর কথা ছিল বাবার। কিন্তু এর আগেই বিদেশের মাটিতে লা’শ হলেন ছে’লে। এখন লা’শের অ’পেক্ষায় দিন কা’টাচ্ছেন বাবা-মা ও





স্বজনরা। হৃদয়ের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজে’লার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মধ্য মকরধ্বজ গ্রামে। তার বাবার নাম শহীদ উদ্দিন। পরিবারের ছোট ছে’লেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সবাই। অসহায় হয়ে





পড়েছেন বাবা। হৃদয়ের বাবা শহীদ উদ্দিন জানান, ধারদেনা করে শামছুল ই’স’লা’মের মাধ্যমে ছে’লেকে বিদেশ পাঠিয়েছেন তিনি। প্রায় দেড় বছরের মা’থায় মা’রা গেল ছে’লেটি। এখনো ঋণ





পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, দেশে এলে ছে’লেকে বিয়ে করানোর কথা ছিল। ঘরে নতুন বউ আসবে। আর এখন ছে’লের লা’শের অ’পেক্ষায় আছি।লক্ষ্মীপুরের ডিসি





মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আম’রা কোনো চিঠি পাইনি। এছাড়া তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লা’শগুলো দেশে আনার বিষয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। আবেদন করলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। ৩ অক্টোবর ওমানের সাহামে উম্মে ওয়াদি লেবান পারপারে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় ওই এলাকা।
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৫০ কিলোমিটারের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় দশ মিটার উঁচু ঢেউ তৈরি হয়। ওই সময় সব লোকদের ওমান সরকার উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নিলেও শামছুল ই’স’লা’ম, জিল্লুর রহমান ও আমজাদ হোসেন হৃদয় থেকে যান। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে তাদের বাতাস ও পানির স্রোতে ভাসিয়ে নেন। পরে স্থানীয়ভাবে খোঁজাখুঁজির পর তাদের ক্ষতবিক্ষত লা’শ পাওয়া যায়।
Leave a Reply