
প্রাইজবন্ড হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা। অনেকে এর নাম জানলেও





জানা নেই বিস্তারিত। জানা নেই কোথায় পাওয়া যায় এটা। কি ভাবেই বা মেলে লাখ লাখ লাখ পুরস্কার। আজ আমরা সে বিষয়টিই একটু জানার চেষ্টা করবো। প্রাইজবন্ড বিষয়টা অনেকটা লটারির মতো হলেও





এর মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। তবে লটারি ‘ড্র’ হয়ে গেলে সেটার আর মেয়াদ থাকে না এবং লটারিটির মূল্যও থাকে না অর্থাৎ লটারিতে না জিতলে পুরো টাকাটা লস। কিন্তু প্রাইজবন্ড ‘ড্র’ হয়ে যাওয়ার পরও এর





মেয়াদ শেষ হয় না। পরবর্তী ‘ড্র’ এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ প্রাইজবন্ড এর মেয়াদ শেষ হয় না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ‘ড্র’ হওয়ার পরও, চাইলে





সেগুলো ভাঙানো যায়। তবে প্রাইজবন্ডের গ্রাহক কোন মুনাফা পান না, এটি মূলত সরকারের প্রতি জনগণের একটি সুদমুক্ত বিনিয়োগ। তাই প্রাইজবন্ডকে সুদমুক্ত জাতীয় বন্ড বলা হয়। প্রাইজবন্ডের





পুরস্কারের মূল্যমান যথাক্রমে প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার দুটি ১ লাখ টাকা করে, চতুর্থ পুরস্কার দুটি ৫০ হাজার টাকা করে এবং পঞ্চম পুরুস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা করে।
কেনার দুই মাস পার হলে প্রাইজবন্ড ড্র-র আওতায় আসে, কেনার ২ মাস পর ড্র-র আওতায় আসবে এটা কেবল নতুন ইস্যু করা বন্ডের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ বন্ডের উপর যে তারিখটা সিল দেয়া থাকে সেটা থেকে ২ মাস। মানে যা দাঁড়ায় যে সব প্রাইজবন্ড কেনা হয়নি মানে অবিক্রীত প্রাইজবন্ড লটারির আওতায় আসে না।
একক সাধারণ পদ্ধতিতে (প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর) ড্র পরিচালিত হয়। বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার যথাক্রমে ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর।
তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারণে প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।
Leave a Reply